এককালে এই বাংলার বুকে ঘুরে বেড়াত রোমথারা। কী করত তারা? রাজা লক্ষ্মণ সেন কি সত্যিই কাপুরুষ ছিলেন? বখতিয়ার খলজীর হঠাৎ আক্রমণে পালিয়ে গিয়েছিলেন প্রাসাদের খিড়কি দরজা দিয়ে? এটা কি ঐতিহাসিক সত্য নাকি নেহাতই গুজব? ল
্ষ্মণ সেন ছিলেন চিকিৎসাবিদ্যার গভীর অনুরাগী। তাঁর আমলে বৈদ্যসমাজের প্রতিপত্তি ছিল তুঙ্গে। বৈদ্যদের জন্য রাজ তহবিল থেকে ব্যয় করা হত ঢালাও অর্থ। ভেষজকল্পে নানা অনুদান। সেই আয়ুর্বেদ চিকিৎসার স্বার্থেই সমাজে তখন গজিয়ে উঠেছিল আশ্চর্য এক সম্প্রদায়। নাম তাদের ‘রোমথা’। না। চিকিৎসায় তাদের গিনিপিগ করা হত না। বরং তারা নিজেরাই ছিল ওষুধ! কারা ছিল এই রোমথা? কেন তাদের বুকে লোহার শলাকা পুড়িয়ে চিরকালের জন্য দাগিয়ে দেওয়া হত ‘রোমথা?’ আজকের মালদা শহরে কেন একের পর একজন মানুষ নিরুদ্দেশ হয়ে চলেছে? কিছু মানুষ যেন পালটে যাচ্ছে রাতারাতি! কীভাবে? মৃত্যু তো প্রত্যেকের জীবনে একবারই আসে? কিন্তু কখন তার পুনরাগমন ঘটে? বিজ্ঞান ইতিহাস ও রোমাঞ্চের মিশেলে রুদ্র প্রিয়ম সিরিজের নতুন উপন্যাস ‘মৃত্যু যখন দু’বার আসে’, যেখানে সমান্তরালে আঁকা হয়েছে প্রাচীন বাংলার এক বিলুপ্ত প্রথা ও সমসাময়িক অদ্ভুত এক সিরিয়াল কিলিং এর অপরাধ!
Manufactured Orphan – ‘তৈরি করা অনাথ’ দের নিয়ে বাংলা ভাষায় সর্বপ্রথম উপন্যাস। ভারতবর্ষের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশ থেকে এভাবেই পাচার হয় দুঃস্থ শিশুরা, মোটা ডলারের বিনিময়ে কিছু অনাথ আশ্রম বা দত্তক দেওয়ার এজেন্সিরা তাদের বিক্রি করে দেয় বিদেশী নিঃসন্তান দম্পতিদের কাছে। এই অবৈধ Inter Country Adoption এ নাম জড়িয়েছে দেশের তাবড় তাবড় সেবাপ্রতিষ্ঠানের। দেবারতি মুখোপাধ্যায়ের রুদ্র প্রিয়ম সিরিজের নতুন উপন্যাস ‘গন্তব্য এখনো এক সভ্যতা দেরি’র পটভূমি পশ্চিম ভারতের গোয়া। সেই গোয়া, যেখানে পাঁচশো বছর আগে ইনকুইজিশনে পুড়ে মরেছিল হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষ। কি সম্পর্ক ইনকুইজিশনের সঙ্গে আজকের গোয়ার? ধর্মীয় সংকীর্ণতার সঙ্গে হিংস্রতা যখন মিশে যায়, তখনই জন্ম নেয় বাসের অযোগ্য বিশ্বের। ধ্বংসলীলা চলে অবিরাম। বিজ্ঞান ইতিহাস ও সংবেদনশীলতার মিশেলে বিরাট ক্যানভাসের এই উপন্যাস ।
ইতিহাস, বিজ্ঞান ও পুরাণের মেলবন্ধনে এগোনো রুদ্ধশ্বাস রোমাঞ্চে ভরপুর এই অতিপ্রাকৃত থ্রিলার উপন্যাস ঈশ্বর যখন বন্দি ২০১৬ সালে প্রকাশের সঙ্গেসঙ্গেই সাড়া ফেলেছিল পাঠকমহলে, রাতারাতি হয়ে উঠেছিল বেস্ট সেলার, এক বছরে নিঃশেষিত হয়েছিল চারটি সংস্করণের সমস্ত কপি। বর্তমান সংস্করণটি ঈশ্বর যখন বন্দি-র পরিমার্জিত ও পরিবর্ধিত প্রয়াস।
ইউরোপীয় পটভূমিতে লেখা এই সুবৃহৎ থ্রিলার উপন্যাসে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে ঘটে চলা সন্ত্রাসবাদ, মধ্যপ্রাচ্যের শরণার্থী সমস্যার সঙ্গে সমান্তরালভাবে আঁকা হয়েছে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী রাজনৈতিক এবং ঔপনিবেশিক ডামাডোলে বিধ্বস্ত জার্মানির চালচিত্র। উপন্যাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ জুড়ে আছে হিটলারের রাজনৈতিক কেরিয়ারের উষাকাল এবং সমাজ ওলটপালট করে দেওয়া একটি অধুনালুপ্ত প্রাচীন তত্ত্বের প্রয়োগ। হিটলারশাসিত জার্মানির ঐতিহাসিক দলিলের সঙ্গে আধুনিক জিন থেরাপির কিছু বিতর্কিত মতবাদ, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ের বহুলপ্রচলিত ক্রিপ্টোগ্রাফি এবং সমান্তরালে এক সদ্যবিবাহিত বাঙালি স্বামীস্ত্রীর জীবনপ্রবাহে এগিয়েছে এই শ্বাসরুদ্ধ করা বৈজ্ঞানিক প্রেক্ষাপটের ঐতিহাসিক থ্রিলার নরক সংকেত।
রহস্যময় আমীশ সম্প্রদায়ের ওপর রচিত সর্বপ্রথম বাংলা উপন্যাস, যা পাঠককে মানসভ্রমণ করাবে সুবিশাল ভৌগোলিক ও সুদীর্ঘ সময়পটে, নিয়ে যাবে সনাতন ভারতবর্ষের কিছু অপ্রিয় অথচ অমোঘ সত্যের কাছে।
...