সর্বংসহ বৃক্ষেরই মতো ছিল সেই নারী। অপবাদক্লান্ত কিন্তু সেবাধর্মে স্থির ও অটুট। ভেষজচিকিৎসাবিদ্যা তার করায়ত্ত। জীবনকে সে শুশ্রূষার মধ্যে দেখতে শিখেছিল। বাঁশির ধ্বনিতে রাঙিয়ে নিয়েছিল। তার প্রেম ছিল আকা
শ পরিমাণ। মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ককে সে জানত জল, মাটি বায়ু ও অগ্নির সম্পর্কের মতোই স্বাভাবিক। কিন্তু জীবনধারার ঘূর্ণাবর্তে তার মধ্যে জেগে উঠল সংশয় ও প্রশ্ন। সম্পর্কের প্রকৃত টান কোথায়? রক্তে? নাকি সম্পর্কসমূহকে স্বীকার করে নেবার ঔদার্যে! মানুষের প্রকৃত সম্পর্ক কি শেষ পর্যন্ত তৈরি হয় তার মধ্যে লালিত কোনও বোধের সঙ্গেই?চম্পাবতী তার নিজের জীবন ছাপিয়ে পুত্রের জীবনের মধ্যে সজ্ঞানতার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনও সঠিক সিদ্ধান্তে কেউই কি পৌঁছতে পেরেছে কোনওদিন?
...