তিনকাটাঁড়-দেওকিলা-নাহাগড়ের পটভূমিতে উঠে এসেছে এই উপন্যাস। বহিরঙ্গে যা লালফিতের অচলায়তন, তার ভেতরেও অনবরত বয়ে চলে নানা মানবীয় অনুভূতি, ঘাত-প্রতিঘাত, জটিল সমীকরণের পঙ্কিল আবর্ত, কোথাও হয়তো ব্যক্তি-মানুষ আর প্
শাসক-মানুষের দ্বৈত সত্তার অন্তর্দ্বন্দ্ব। কিংবা বিধিবদ্ধ স্তরকাঠামোর মধ্যে নানা জটিল-কুটিল সমীকরণের ফল্গুস্রোত, কূট কলাকৌশলের প্রয়োগ সময়ে সময়ে। সেই সবকিছু নেড়েচেড়ে দেখেছে এই উপন্যাস।
আর এই বিধিবদ্ধ স্তরকাঠামোর মধ্যে থেকেই উঠে আসে এক মানবী। শাসনব্যবস্থার স্তরবিন্যাসে কর্মকর্তাই একমাত্র নয়, কর্মকর্ত্রীরাও থেকে যান কখনও কখনও।
কেমন হবে সেই মানবীর কাহিনি? সে উত্তীর্ণ হয়ে আসে সম যোগ্যতামানের মাপকাঠিতে, কিন্তু তারপর কেমন হয় তার পথচলা?
পুং-অবয়বকে সরিয়ে রেখে এ কাহিনিতে বলা হয়েছে আপাত এক জগদ্দল কাঠামোয় সেই মানবীর চাওয়া-পাওয়া, আশা-আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গের আখ্যান।
উপন্যাসটি আদতে কল্পনানির্ভর। কিন্তু কল্পনা কবেই বা আর বাস্তবকে অতিক্রম করতে পেরেছে? নাকি করেও যায় কোনও কোনও বিরল মুহূর্তে?
...