"চেনা অচেনার ভিড়ের প্রথম উপন্যাস "কাছের সঙ্গী"। পুরোনো জমিদার বাড়ির শেওলা ধরা দেওয়ালের আভিজাত্যকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে এই উপন্যাস। জমিদারি হারিয়ে ফেলার পরেও ওই নামটুকুকে আপ্রাণ ধরে রাখার প্রচেষ্টাটাই এই উপ
ন্যাসের প্রধান বিষয়। জমিদার বংশের শেষ বংশধর গৌরীশঙ্করের জীবনে অর্থ আর আভিজাত্যের টানাপোড়েন মনের মধ্যে দ্বন্দু তৈরি হবে সেটাই মূলত দেখানো হয়েছে "কাছের সঙ্গী"তে। ঐতিহ্যের দম্ভে তার বাল্য ভালোবাসাও কঠিন সমস্যার সম্মুখীন।
"চেনা অচেনার ভিড়ে"র দ্বিতীয় উপন্যাস "পরজন্ম চাই"। উপন্যাসের নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে প্রধান চরিত্র এই জীবনে ভীষণ ভাবে ব্যর্থ। তাই এ জীবনের সবটুকু না পাওয়া সে পূরণ করতে চায় পরজন্ম নামক অলীক জগতে। একজন মধ্যবয়স্কা মহিলার জীবনের ওঠা-নামা, সুখ- দুঃখের রোজনামচার মধ্যেই তার যৌবনকালের আকাশ ধরার স্বপ্ন কি আদৌ পূরণ হবে? সেটাই এই উপন্যাসের মূল বিষয়।
এই বইয়ের তৃতীয় উপন্যাস "সহযাত্রী"। মাত্র বারো ঘন্টার ট্রেন জার্নি কি ভাবে বদলে দেবে দেবলীনার জীবন? কি ভাবে তার তিন বছরের ভালোবাসার সম্পর্ক মুহূর্তে ভেঙে যায় তেমন কোনো কারণ ছাড়াই? কেন সম্পূর্ণ অচেনা অজানা সহযাত্রী দিগন্তকে এতটা বিশ্বাস করে ফেলবে দেবলীনার মত উচ্চশিক্ষিতা মেয়ে? সব প্রশ্নের উত্তর দেবে "সহযাত্রী" উপন্যাসের দার্জিলিং মেলের ওই বিশেষ কামরাটি।
...