এই সিরিজে সুবিশাল মহাভারতকে রূপকথামুক্ত করে চেয়েছেন লেখক। জীবনকাহিনিটিও সেই লক্ষ্যেই লিখিত। সিরিজের অন্তর্গতও বটে আবার স্বয়ংসম্পূর্ণ ও ঘটে। এই মহাজীবন ও মহামরণকে ঘিরে বহু মিথ বুনেছে সময়, তিনি হয়ে পড়ছ
ে অর্ধেক মানুষ তো অর্ধেক কল্পনা। অসঙ্গতিতে ভরা তার বিবরণ। তার জন্য স্বর্গ থেকে গরুড় এসে পিঠ পেতে দেয়, পক্ষীমানুষ? সুদর্শন চক্রটিও ডাকবামাত্র এসে অনামিকাশে অধিষ্ঠিত হয়, তিনি দেবরাজ ইন্দ্রর সঙ্গে লড়াই করেন, তাঁর ষোলো হাজারের বেশি পত্নী আছে, পুত্র অসংখ্য। তিনি মৃত শিশুকে বাঁচিয়ে দ্যান, জোড় হাত করে প্রার্থনা করলেই সমুদ্র যোজন যোজন জমি দিয়ে দ্যান, তিনি হাতে নিলেও এরকা মুষল হয়ে যায়, আকাশ ও সূর্যকে তিনি শাসন করতে পারেন, অথচ কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ থামাতে পারেন না, তাঁর নিজের বংশের ধ্বংস ঠেকাতে পারেন না, সামান্য এক ব্যাধ হরিণ ভ্রমে তাকে তিরবিদ্ধ করে মেরে ফেলে। মিথ ভেদ করতে গিয়ে এই গ্রন্থ আবিষ্কার করে এক অসামান্য বুদ্ধি ও চারিত্র বিশিষ্ট, মানবিক মূল্যবোধে অন্যান্য আধুনিক মানুষ, এ দেশের শাসনতন্ত্রকে যিনি পাপমুক্ত, প্রজামুখী ন্যায়বান, মানবিক করতে চেয়েছিলেন, যাঁকে আমরা পাঁচ হাজার বছর আগে পেয়েছিলাম, পাইনিকো আর। অদূর ভবিষ্যতেও পাবার কোনও আশা দেখছি না।
...