সৌরভ মুখোপাধ্যায়ের চতুর্থ গল্পসংকলন: ‘শেষ খেয়ার গল্প’।
যিনি তিরিশে শুরু করেছিলেন গল্পের খেয়া বাওয়া, পঞ্চাশে পৌঁছে কেন এই নাম দিলেন নিজের সাম্প্রতিকতম বইটির? একটানা দু’দশকের যাত্রাপথের কোন্ সন্ধিক্ষণে পৌঁ
ছে এমন একটা শিরোনাম বাছলেন সেই লেখক— যাঁকে অনেকেই বর্তমান বাংলা কথাসাহিত্য-জগতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কলমের অধিকারী বলে চিহ্নিত করেছেন ইতোমধ্যেই?
জানতে হলে আগে পড়তে হবে এ-বইয়ের মুখবন্ধ। সৌরভ মুখোপাধ্যায়ের গল্পসংকলনের দীর্ঘ ভূমিকাগুলিকে অনেকেই এক-একটি আলাদা গল্প হিসেবে উপভোগ করেন— এ-গ্রন্থেও আছে তেমনই একখানি; দীর্ঘ নয়, সংক্ষিপ্ত— কিন্তু যথারীতি অমোঘ, মর্মস্পর্শী, স্মরণীয়।
আর, মুখবন্ধের পর গোটা বই জুড়ে যা থাকে? সে-বস্তুও, যথারীতিই, আগের সংকলনগুলির মতোই মহার্ঘ। মেধা আর আবেগ, শিল্প আর নির্মিতি, উড়ান আর নিয়ন্ত্রণের মণিকাঞ্চন। হাসির গল্প, কান্নার গল্প, প্রেমের গল্প, ঘৃণার গল্প, আলোর গল্প, অন্ধকারের গল্প, রাজনীতির গল্প, মহাকাব্যের গল্প— কী না লিখেছেন সৌরভ, কোথায় না বিচরণ করেছেন, কোন্ লেখাতেই না নিজের পারঙ্গমতার ছাপ রেখেছেন এই কুড়ি বছরে!
নানা রসের, নানা রঙের কুড়িটি গল্পের এই সংকলনও, সৌরভ মুখোপাধ্যায়ের পূর্বতন গল্পগ্রন্থগুলির মতো, সঠিক অর্থেই প্রতিনিধিস্থানীয়; ন্যারেটিভ-বৈচিত্র্যে এবং বিষয়-বহুমুখিনতায়— এক অশেষ পাঠসুখের আকর আর অজস্র নতুন ভাবনা উশকে দেওয়ার চকমকি।
...