কেজো লোকেরা চান খবর হবে টেলিগ্রামের মতো সংক্ষিপ্ত, ঋজু এবং তাতে শুধু মোদ্দা কথাটা বা ঘটনাটুকুই থাকবে, পল্লবগ্রাহিতা তাঁদের পছন্দ নয়। যাঁরা অবসরপ্রাপ্ত, বেকার বা চব্বিশ ঘণ্টার গৃহবধূ তাঁদের ক্ষুধা আর-একটু বে
ি। সুতরাং ভিন্নরুচির্হি লোকাঃ এই বাক্য মাথায় রেখে খবরের কাগজের কাগুজে লোকেরা খবর সাজান। স্থান, কাল, পাত্র আর ঘটনা এই নিয়েই খবর। পাঁচ-দশ লাইনের একটা খবর শুধু তথ্যটুকু জানিয়ে দেয়, তার বেশি কিছু নয়। কিন্তু ওই পাঁচ-দশ লাইনের পিছনে যে গভীর ও বিস্তারবিশিষ্ট মানবিক আবেদন রয়েছে, গল্পের আড়ালে রয়েছে গল্প, সংবাদের নিহিত অভ্যন্তরে রয়েছে প্রোথিত বিষাদের বীজ তার কথা অবগুণ্ঠনে থেকে যায়। তাই অনেক সময় খবরের কাগজে ছড়িয়ে থাকা খবরের কোলাজ আমাদের সময় ও পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করে মাত্র, তেমন আলোড়িত করে না। কাগুজে লোকদের অনেক হিসেব মাথায় রাখতে হয়। স্থান সংকুলান, বিজ্ঞাপনের অগ্রাধিকার, পাঠকরুচি, কাগজের অনুসৃত নীতি, খবরের ওজন এবং গুরুত্ব বা প্রাসঙ্গিকতা ইত্যাদি। এত প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও মাঝে মাঝে এক-একটা প্রতিবেদন দখিনা বাতাসের মতো কিছু একটা বয়ে আনে। সাংবাদিকতায় সেই অসামান্য লাবণ্যটির সঞ্চার ঘটিয়েছেন অনিমেষ বৈশ্য। আনন্দবাজার পত্রিকায় তাঁর বিভিন্ন প্রতিবেদন ইতিমধ্যেই প্রভূত জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। সংবেদনশীল, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সংবাদের অন্তর্নিহিত হৃৎস্পন্দনটিকে অনুভব করার প্রয়াসই এই প্রতিবেদনগুলিতে গভীর এক মাত্রা যোগ করেছে। সংবাদ আর নিছক সংবাদ থাকেনি, তা হয়ে উঠেছে মানুষের সুখ-দুঃখের অপরূপ কথকতা
...