বই সম্পর্কিত কথা ‘মন আয়নায় মেঘ’ বইটি একটি উপন্যাসিকা সংকলন। তিনটি উপন্যাসিকা বা নভেলা রয়েছে এই বইয়ে। তিনটি উপন্যাসিকাই মনস্তাত্ত্বিক-প্রেম-সামাজিক জঁরে লেখা। একটা মানুষকে বাহ্যিকভাবে চিনলেও তার মনের
বর যে সম্পূর্ণ এসে পৌঁছায় না সেটা নিয়েই লেখা হয়েছে উপন্যাসিকাগুলি। ‘মন আয়নায় ছবি’-উপন্যাসিকাতে ধীরে ধীরে চোখের সামনে সকলে বদলে যেতে দেখবে অরিত্রীকে। বাবা-মা-বান্ধবী-প্রেমিক সকলের কাছ থেকে সে ক্রমশ নিজেকে সরিয়ে নিতে চাইছে। না একাকীত্ব যাপন সে চায় না। সে খুঁজে চলছে কোনো এক না দেখা শুভময়কে। কে এই শুভময় ? কীভাবেই বা অরিত্রীর আলাপ হলো শুভময়ের সঙ্গে ? তাকে খুঁজতে গিয়ে নিজেকে কেন এভাবে বদলে ফেলছে অরিত্রী? তার মনের আয়নায় কার ছবি ভেসে বেড়ায় চেতনে ও অবচেতনে ? ‘চুপি চুপি’- উপন্যাসিকার নায়িকা চাকরি ছেড়ে নিজের একটা অফিস খুলেছে। সে অফিসে মানুষ নিজের মনের কথা বলতে আসে চুপি চুপি। এমন অনেক মানুষ আছেন যারা ইচ্ছে হলেও নিজেকে উজাড় করতে পারেন না জনসমক্ষে। তাই বলে কি তার কথা জমে না? জমে তো, অনেক কথা জমে। কিন্তু সে কথা কাউকে বলে ওঠার মতো মনের জোর তিনি সঞ্চয় করে উঠতে পারেন না। ‘চুপি চুপি’ তাদের কথা শোনে। এমনভাবেই ঊর্মিলা এসেছিল চুপি চুপির অফিসে। তারপর কীভাবে যেন নানা সমস্যায় জড়িয়ে গিয়েছিল চুপি চুপি। ‘শ্রীকণ্ঠধাম- অল্পবয়সের একটা ছোট ভুলে কীভাবে যেন বদলে যাবে তৃষার জীবন। যে জীবনের আঁচ সে কোনোদিন পায়নি। নিজের মনকে কঠিন শাসনে বশ করার এ পদ্ধতি কে শেখালো তৃষাকে? পরিচিত-পরিজনের থেকে কেন হারিয়ে গেল তৃষা? হারিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল হয়তো। মন আর মস্তিষ্কের লড়াইয়ে কে জিতবে?
...