CURRENTLY OUT OF STOCK
১৯৪৬ – এর দাঙ্গার সঠিক ইতিহাস কী তা প্রায় বেশিরভাগ মানুষই জানেন না। সেই দাঙ্গায় শ্রী গোপালচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ওরফে গোপাল পাঁঠার ভূমিকা কী ছিল তা নিয়ে সঠিক তথ্য প্রায় কারো কাছে নেই। অথচ আজকের দিনেও ‘দ্য গ্রেট ক
্যালকাটা কিলিং’ নিয়ে মানুষের কৌতুহল প্রবল। কিন্তু কোনো এক অজ্ঞাত কারণে সঠিক তথ্য গোপন করে রাখা হয়েছে। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানা শোনা কথা। কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যে বোঝার উপায় নেই। এই সত্য উন্মোচন করতেই এই উপন্যাসের অবতারণা। ৪৬-এর দাঙ্গায় কে দোষী ছিল – হিন্দু নাকি মুসলমান? কেন লালবাজারের পুলিশি ব্যবস্থা দিনকয়েকের জন্য অচল হয়ে পড়েছিল? হাওড়া ব্রিজ ডিনামাইট দিয়ে উড়াবার পরিকল্পনা কিভাবে আর কোন বাড়িতে বসে হয়েছিল? কলকাতার তৎকালীন শাসক সুরাবর্দীকে হত্যার ছক কে করেছিল? সেই সময় কলকাতার জন্য নেহরু আর গান্ধীজীর ভূমিকা কী ছিল? জিন্না কোন অধিবেশনে কী বক্তব্য রেখে গিয়েছিলেন? মসজিদগুলোতে অগাস্ট মাসে কারা এসেছিল? দাঙ্গাবাজরা কিভাবে কলকাতা আক্রমণ করলো? সর্বোপরি ইতিহাস থেকে প্রায় মুছে যাওয়া চরিত্র গোপাল পাঁঠা মানুষটাই বা কে? এই সমস্ত প্রশ্নের সত্য উত্তর খোঁজার গল্প ‘কলকাতা কসাইখানা’। সাহিত্যিক সৌরভ চক্রবর্তী উপযুক্ত তথ্যের ভিত্তিতে লিখেছেন এই উপন্যাস। তাই ‘কলকাতা কসাইখানা’ নিছক কোনো কাহিনি নয়, এ এক ইতিহাসের জীবন্ত দলিল।
...