এক তান্ত্রিক মতে, মদ্য - মাস - মৎস - মুদ্রা - মৈথুন, এই পাঁচ ‘ম’ -কার হল সাধনার প্রাণস্বরূপ। পাঁচটি উপাদানের নামাদিতে ‘ম’, তাই এমন আখ্যা।
রাজনীতিও ঠিক তেমনই। রাজনীতি সমাজের চালিকাশক্তি, আবার তার বিরুদ্ধে দাঙ্গা, খ
ুনোখুনি, ধান্দাবাজি, স্বার্থপরতা, ক্ষমতালিপ্সার অভিযোগও বিস্তর।
তা নন্দিতই হোক বা নিন্দিত, আমাদের মতে আশি - নব্বইয়ের দশকে ভারতীয় রাজনীতির উপাদান নতুন এক পঞ্চমকার— মন্দির, মসজিদ, মণ্ডল, মসনদ ও মৃত্যু।
এই পাঁচ ‘ম’ সূচক শব্দ ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে রাজনীতির কুশীলবদের ভাগ্য। সে দলে শায়র বাজপেয়ী কিংবা রথরোহী আদবানী যেমন আছেন তেমনি “ভুলোমনা” চন্দ্রশেখরও আছেন। স্মৃতিধর-খ্যাত প্রণব আছেন, ইয়ং ইন্ডিয়া-র ভগীরথ রাজীব আছেন, গ্রান্ড ওল্ড ম্যান পিভি আছেন, আছেন মিস্টার ক্লিনার ভিপি সিং। জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব, সোনিয়া, মমতারাও আসবেন উল্লেখযোগ্য ভূমিকায়। দুই সিং পালোয়ান, মুলায়ম - কল্যাণের রাজনৈতিক কুস্তির কথা যেমন হবে, তেমনি হবে যাদব কূলপতি লালুপ্রসাদ অথবা অকালে ঝড়ে যাওয়া ফুল, ফুলন দেবী-র কথাও।
...