আন্দোলিত বৃক্ষশাখে বসেছে ফড়িঙ। সারাদিন লেজ নাড়ে, টিং টিং টিং। আগামীর প্রজাপতি, শুঁয়োপোকা জনে-- হামা দিয়ে গুঁড়ি গুঁড়ি অসুরের কানে। চেঁচিয়ে অসুর বলে, বেসুর কেন লাগে— বাজলে বীণার তার তেড়েফুঁড়ে রাগে। অসুরের রাগ হ
কানের উপর-- নিজ কান থাবড়ায়, ধাপুর ধুপুর। নিজের কান থাবড়াক বা কেটে নিক, বড়ো মানে বড়ো। মানে বড়োই। মানে একরাশ মহিমান্বিত ফুঁ বর্ষণ। ফুল-এর বুকে। অবধারিত লো অ্যাঙ্গেলে পিটির পিটির চেয়ে দীর্ঘশ্বাস। বড়ো মানে, ধরে নিতে হবে যেন বড়দা। থাবড়া মারার জন্য সদা প্রস্তুত। বা মোবাইল টাওয়ার। সবকিছু ছাড়িয়ে। সবার উপরে। বা উটপাখির ডিম। বিকট টর্নেডো। শুধু তুলে নিচ্ছে। তবে ভাবনা অন্য জায়গায়। অসুর ভিন্ন জাতের হয়েও কীভাবে যেন প্রথম থেকে শেষ অঙ্কে বড়ো হয়েই থাকে! পড়ে গেলেও অসুর। মরে গেলেও অসুর। কান কাটা, নাক কাটা হলেও তাই। কেন এমন? বুঝতে বুঝতে বেলা যায়। ফাঁকতালে বইটা হয়। লেখা ও ছবি: সুব্রত আচার্য।
...