তাঁতে শাড়ি বোনার সময় লম্বালম্বি যে সুতো সাজানো থাকে তাকে টানা বলে। আড়াআড়ি সুতোকে বলে পড়েন। এই উপন্যাসের টানা হল মা টুম্পা, মেয়ে সুধা, তাদের আত্মীয়সম ব্রজলাল শর্মা। পড়েন হল এমএলএ মনোজিত রায় ও তার পরিব
ার এবং কলকাতার সব থেকে বড় শাড়ির দোকানের মালিক অরূপ ঘোষাল ও তার পরিবার। খুন ও ধর্ষণ, প্রেম ও প্রত্যাখ্যান, বিরহ ও প্রতিহিংসা, অপত্য স্নেহ ও ঘৃণার টানাপোড়েনে যে ডিজাইন ফুটেছে তাকে জটিলতর করছে অজস্র পার্শ্বচরিত্র। সবাইকে বুনতে বুনতে তাঁতের মাকু যাচ্ছে কলেজ থেকে থানায়, হাসপাতাল থেকে বেশ্যালয়ে, পুরনো দিনের বাড়ি থেকে খানদানি বাংলোয়, অ্যাড এজেন্সি থেকে টালিগঞ্জের স্টুডিয়োয়, শপিং মল থেকে পাঁচতারা হোটেলে, মোহনপুর থেকে আমেরিকায়।
দ্রৌপদীর শাড়ির মতো অন্তহীন উপন্যাসে ফোটানো হয়েছে যে স্বর্গীয় নকশা, তার অন্য নাম জীবন।
...