২০২০ সালের কোভিড কবলিত সময়েও ‘নারাচ’ উপন্যাস প্রকাশ হওয়ামাত্র পাঠক মহলে সাড়া ফেলে দেয়। অনূদিত হয় ইংরেজি ভাষাতেও। এর প্রধান কারণ উপন্যাসটির প্রেক্ষাপট ও ঘটনার বিস্তার।
নারাচ উপন্যাসের প্রেক্ষাপট ছি
উনবিংশ শতাব্দীর পরাধীন ভারত, যখন লাতিন আমেরিকার নির্বিচারে পাচার হচ্ছিল অভাগা শ্রমিকরা! নারাচ সে সময়কার শেষ, তারপর থেকে শুরু ‘মগ্ননারাচ ’। এই উপন্যাসের পটভূমি ভারতের আসাম রাজ্যের চা বাগান। সেখানের দালাল-আড়কাঠির মাধ্যমে, নানা প্রলোভনে দেখিয়ে মানুষ পাচার করা হচ্ছিলো। কী ঘটলো সেইসব হতভাগ্য মানুষের কপালে?
পাশাপাশি এই উপন্যাসে এসেছে ডাঃ কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়ের অক্লান্ত লড়াই, রয়েছেন তাঁর স্বামী দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়, গগনচন্দ্র, উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, নেপালের রাজপরিবার এবং নবাব ওয়াজেদ আলী শাহর পরবর্তী মুমূর্ষু মেটিয়াবুরুজ। এর সঙ্গে মিশে গেছে ভুবনমণির মতো কাল্পনিক চরিত্ররা, যাঁদের অনেকেই ছিলেন 'নারাচ' উপন্যাসে।
‘মগ্ননারাচ’ কি প্রকৃত অর্থে ‘নারাচ’ উপন্যাসের সিকুয়েল ? কেন এই উপন্যাসের এমন বিচিত্র নাম? এ বইয়ের পাতায় পাতায় ছড়িয়ে আছে এইসব প্রশ্নের উত্তর।
দেবারতি মুখোপাধ্যায়ের স্বচ্ছন্দ কলমে ইতিহাস আশ্রিত উপন্যাস মগ্ননারাচ ।
...