জয়ন্ত আর মানিক দুই সমবয়সি বন্ধু। জয়ন্ত একুশ। মানিক উনিশের হবে। থাকেও একসঙ্গে। বাড়িতেই আছে বিরাট লাইব্রেরি আর ল্যাবরেটরি। কোনোদিন ভোর বেলা দোতলার ঘরে প্রবেশ করে শীতল বাতাস আর জয়ন্ত ধরে বাঁশিতে রামকেলি
সুর। পরিচারক মধুর দিয়ে যাওয়া চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিয়ে মানিক হাতে তুলে নেয় সেদিনের সংবাদপত্রটি। এমন সময়ে সুপরিচিত বিপুল পদাঘাতে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে যেন গোটা বাগবাজারই। দুনিয়া কাঁপিয়ে ঘরে প্রবেশ করেন সুন্দরবাবু। পুলিশ অফিসার। ঔদরিক। মধুর হাতের চিকেন স্যান্ডউইচ তাঁর বড়ো প্রিয়। ফেলুদা কাহিনির জটায়ুর মতো এই থ্রি মাস্কেটিয়ার্স-এর কমিক রিলিফ কিন্তু তিনিই। মাঝে মাঝেই ‘হুম’ বলে ওঠা তাঁর অভ্যেস। আর আছেন প্রতাপ চৌধুরি। ভয়ানক ভিলেন। ‘সোনার আনারস’-এর পরে ‘জগৎশেঠের রত্নকুঠী’ উপন্যাস দুটি জুড়ে চলতে থাকে তাঁর ভিলেনির কারনামা ।
...