CURRENTLY OUT OF STOCK
ধলভূমগড় রাজ্যের রাজগুরু মহর্ষি শম্ভুপাদ প্রতিরাত্রে এক ভয়ঙ্কর স্বপ্ন দেখেন। কোন সর্বনাশের ইঙ্গিত রয়েছে সে স্বপ্নে? মহারাণী কঙ্কাবতীই বা আজকাল রাজামশাইয়ের আশেপাশে যেতে ভয় পান কেন? কী সেই ভয়ঙ্কর ঘটনা যার পরে
রাজামশাই আমূল যেন বদলে গিয়েছেন? প্রেতপর্বতের প্রেতসাধক গুনীণদের বচন কী সত্যি প্রমাণিত হবে? মহর্ষি কী পারবেন দেবী রঙ্কিণীর শক্তিঅঙ্গকে গর্ভপ্রাচীর দিয়ে রক্ষা করতে? নাকি শয়তানের অনুচরেরা জাগিয়ে তুলবে সেই ভয়ঙ্কর অপদেবতাকে যে আজও ঘুমিয়ে রয়েছে কালের গহ্বরে? মর্ত্যগন্ধর্বেরা কেন বললেন দেবী রঙ্কিণীর নিয়তিতে রয়েছে রক্তখাকি হওয়া? কেন আচমকাই লোকজন নিরুদ্দেশ হয়ে যাচ্ছে এক একটা গ্রাম থেকে? কী হবে সেদিন যেদিন সুবর্ণরেখার জল বদলে যাবে রক্তে, পাহাড়ের পাথরেরা প্রাণ পেয়ে চলাচল করবে আর রাতের অন্ধকার বদলে যাবে দিনে? সাগর আর বিষাণ, দুজনেই খবর পায় ঝাড়খণ্ডের জাদুগোড়ার কাছাকাছি কোনো পাহাড়ি প্রত্যন্ত গ্রামে বসবাস করে দীর্ঘজীবী মানুষেরা। লোকে বলে তারা নাকি অমর। কিন্তু ঝাড়খণ্ডে পৌঁছে ওরা জানতে পারে, সেই গ্রাম নাকি অভিশপ্ত। কীসের অভিশাপে অভিশপ্ত হয়ে রয়েছে গ্রামটি? কেনই বা লোকে ভয় পায় গ্রামটি সম্পর্কে আলোচনা করতে? ঝাড়খণ্ডে বেরোনোর আগে প্রতিনয়ত সাগর পেতে থাকে নানান ধরনের হুমকি। কেউ চায় না সাগর ঝাড়খণ্ডে যাক? কিন্তু কেন? সাগরের অতীতের কোন শতাব্দী প্রাচীন রহস্য লুকিয়ে রয়েছে ঝাড়খণ্ডে? সে কী পারবে সেই রহস্য ভেদ করতে? কে প্রতি অমাবস্যার গভীর রাতে রঙ্কিণীর দরজায় নিজেকে চাবুকাঘাত করে চিৎকার করে ওঠে” মা আমায় ক্ষমা কর!” বলে? সাগর বুকের ঠিক মাঝখানে একটা ক্ষতচিহ্ন নিয়ে জন্মেছে? এ কী সাধারণ কোনো জন্মদাগ? নাকি এই চিহ্নের ভেতরে এমন কিছু লুকিয়ে রয়েছে যা জাগিয়ে তুলবে এক অতীতের এক অভিশপ্ত দেবতাকে? আর বদলে দেবে সৃষ্টির ভবিষ্যৎ?
...