গোলকনাথ মুখোপাধ্যায় পূর্ববঙ্গের মেঘনা নদীর তীরস্থ এক গ্রাম থেকে আসা যুবক, যে কলকাতায় চাকরি করে ও মালিকের বাড়িতেই থাকে। সেখানে থাকা-কালীন কিছু অপরাধের জট খোলার কাজে জড়িয়ে পড়ে নম্রভাষী এবং বুদ্ধিমান গোলক। প্র
থম গল্পে, গোলক যে বাড়িতে থাকে তার মালিক সবার সামনে খুন হয়ে যায়। খুনি নিজেই ধরা দেয়! কিন্তু তারপর? কোথায় খটকা লাগে গোলকের? আবার দ্বিতীয় গল্পে ওই বাগবাজারেরই অন্য এক বাড়িতে খুন হন বৃদ্ধা হরিদাসী দেবী। পুলিশের বড় দারোগা যদুনাথ এই ব্যাপারেও সাহায্য নেন গোলকের। গোলক এখানেও নানান সূত্র গেঁথে এগিয়ে যায় খুনির দিকে! কিন্তু গোলক কি শেষে ধরতে পারবে সেই অপরাধীকে? এই গল্পের আরেকটি দিক হল কনকমালা। গোলকের সঙ্গে তার না-বলা মিঠে-কড়া প্রেম, গল্পকে অন্য এক আঙ্গিক আর আনন্দ দেয়। এই রহস্য কাহিনিদুটির প্রেক্ষাপট বিংশ শতকের প্রথম দশক। তখন ইংরেজ শাসন চলছে। বঙ্গ-ভঙ্গ নিয়ে বাংলা উত্তাল। সেই পুরনো সময়ের কলকাতা ও তার মধ্যে গোলকনাথ মুখোপাধ্যায়ের, গোয়েন্দা গোলক হয়ে ওঠার কাহিনিই টানটান ও মসৃণ গদ্যে এই গ্রন্থে বিধৃত রইল।
...